দুবাইয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে প্রথমবার যুব এশিয়া কাপ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো টাইগার যুবারা। সেটিও রেকর্ড গড়ে।
সুযোগ ছিল রানের ব্যবধানে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয় পাওয়ার, যা ছিল ২০১ রানের। সেটি না হলেও যুব এশিয়া কাপ ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় জয়। আগেরটি ছিল আফগানিস্তানের, ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৬ রানে জিতেছিল তারা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আশিকুরের ১২৯ রানের সঙ্গে রিজওয়ান চৌধুরীর ৬০ ও আরিফুল ইসলামের ৫০ রানে ৮ উইকেটে ২৮২ রান তোলে বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় নামা আমিরাতের ব্যাটারদের একেবারে সুবিধা করতে দেননি বাংলাদেশের তিন পেসার। রোহানাত দৌলার ৩, মারুফ মৃধার ৩ ও ইকবাল হোসেনের ২ উইকেটের সঙ্গে স্পিনার অফ স্পিনার পারভেজ রহমান জীবনের ২ উইকেটের কল্যাণে মাত্র ৮৭ রানে অল-আউট হয়ে যায় আমিরাত। এতে বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ।
এটি ছিল যুব এশিয়া কাপের দশম আসর।
যার আটবারই চ্যাম্পিয়ন ভারত। বাংলাদেশ অবশ্য এবারের আগে একবার ফাইনাল খেলেছিল, ২০১৯ সালের সেই ফাইনালে ভারতের কাছে ৫ রানে হারেন আকবর আলীরা। এবার সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে প্রথমবার বাংলাদেশ যুবদলকে এশিয়া কাপ জেতালেন মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা।
আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে ১৪ রানে ওপেনার জিসান আলমকে হারায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রানের জুটিতে দলকে শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে দারুণ ভিতে দাঁড় করিয়ে দেন আশিকুর ও রিজওয়ান।
এরপর আরিফুলের সঙ্গে আশিকুরের জুটি ৮৬ রানের। এই জুটির মধ্যে টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন আশিকুর। আগের চার ম্যাচে একটি সেঞ্চুরিসহ দুটি হাফসেঞ্চুরি ছিল তার।
আশিকুরের শতকের পর ৬টি চারে ৪০ বলে ৫০ রান করে আউট হন আরিফুল। তবু থেমে থাকেনি রান তোলার গতি। আশিকুরের ব্যাটে ২৫০ ছাড়ায় বাংলাদেশের স্কোর। ১৪৯ বলে ১২টি চার এবং ১টি ছক্কায় ১২৯ রান করেন এই ডানহাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। আমিরাতের হয়ে আয়মান আহমেদ ৫২ রানে ৪ উইকেট নেন।
রান তাড়ায় প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশি পেসারদের তোপে ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারায় আমিরাত। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। ৬১ রানে ৭ উইকেট হারানো দলটি পরে গুটিয়ে যায় ৮৭ রানে।
Leave a Reply